TechaToè

Technology News,Updates & Reviews

Breaking

Tuesday, 9 January 2018

Thursday, 4 January 2018

January 04, 2018

সময়ের সাথে বদলে যাওয়া কিছু ছবি… নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন!!

সময়ের সাথে বদলে যাওয়া কিছু ছবি… 


১. ছবিটি নরওয়ের রাসটাড অঞ্চলেতোলা হয়েছে। একই স্থানে তোলা ১৮৮৮ সালের এবং ২০১৩ সালের ছবি।

২. ছবিটি নরওয়ের সেলজাসটাজুভেট অঞ্চলে তোলা হয়েছে। একই স্থানে তোলা ১৮৮৭ সালের এবং ২০১৪ সালের ছবি।

৩. এটি “মার্টন লুথার স্ট্যাচু”, জার্মানির ড্রেসডেন অঞ্চলে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালের এবং ২০১৪ সালের ছবি।

৪. হফব্রাউহাস মুনচেন, এটি জার্মানিতে একই স্থানে তোলা ১৮৮৭ সালের এবং ২০১৪ সালের ছবি।

৫. কোয়াডি ডেস নেশন, এটি ফ্রান্সের প্যারিসে তোলা ১৯০০ সালের এবং ২০১৭ সালের ছবি।

৬. ছবিটি পোল্যান্ডের পোজনান অঞ্চলে তোলা হয় ১৯৪৫ সালে এবং ২০১৭ সালে।

৭. প্রিপয়াট, ইউক্রেনে তোলা ১৯৮৬ সালের এবং ২০১৬ সালের ছবি।

৮. ছানে গ্লেসিয়ার, ইউ.এস.এ, ছবিটি ১৯১১ সালে এবং ২০০৫ সালে তোলা হয়েছে।

৯. মৌলিন রগস, এটি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত। ছবিটি ১৯০০ সালে এবং ২০১৬ সালে তোলা হয়েছে।

১০. রেইচস্টেজ, জার্মান, ছবিটি ১৯৪৫ সালে এবং ২০১২ সালে তোলা হয়েছে।

১১. ফ্রান্সের প্যারিসে তোলা ছবি। তোলা হয় ১৯০০ সালে এবং ২০১৭ সালে।

১২. ছবিটি জার্মানের ড্রেসডেন অঞ্চলে তোলা হয়েছে ১৮৯৭ সালে এবং ২০১০ সালে।

১৩. হ্যামারফেস্ট, নরওয়ে, ১৮৮৯ সালে এবং ২০০৪ সালে তোলা হয়েছে।

১৪. আইফেল টাওয়ার, যা ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত। ছবিটি ১৯১০ সালে এবং ২০১৬ সালে তোলা হয়েছে।

১৫. এটি পোল্যান্ডের পোজনান অঞ্চলের একটি রাস্তায় তোলা হয়েছে ১৯৪৫ সালে এবং ২০১৭ সালে।


Friday, 21 July 2017

July 21, 2017

রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল

রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গালঃ


বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অবস্থান ক্যারিবীয় সমুদ্রে। এর এক প্রান্ত ছুঁয়েছে বারমুডায়, অন্য প্রান্তটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মায়ামি এবং আরেকটি প্রান্ত স্পর্শ করেছে পুয়োর্তরিকোর সাজ জুয়ান। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত, আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চল, যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ায় কথা বলা হয়। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দূর্ঘটনা, যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক কোন শক্তি বা ভিনগ্রহের কোন প্রাণীর উপস্থিতি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের বিস্তৃতির বর্ননায় বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ মনে করেন এর আকার ট্রাপিজয়েডের মত, যা ছড়িয়ে আছে স্ট্রেইটস অব ফ্লোরিডা, বাহামা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপূঞ্জ এবং ইশোর (Azores) পূর্বদিকের আটলান্টিক অঞ্চল জুড়ে, আবার কেউ কেউ এগুলোর সাথে মেক্সিকোর উপসাগরকেও যুক্ত করেন। তবে লিখিত বর্ণনায় যে সাধারণ অঞ্চলের ছবি ফুটে ওঠে তাতে রয়েছে ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূল, সান হোয়ান (San Juan), পর্তু রিকো, মধ্য আটলান্টিকে বারমুডার দ্বীপপূঞ্জ এবং বাহামা ও ফ্লোরিডা স্ট্রেইটস এর দক্ষিণ সীমানা যেখান ঘটেছে অধিকাংশ দূর্ঘটনা। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বিষয়ে যারা লিখেছেন তাঁদের মতে ক্রিস্টোফার কলম্বাস ( ইতালীয় নাবিক ও ঔপনিবেশিক)সর্বপ্রথম এই ত্রিভূজ বিষয়ে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা লিখেন। তিনি লিখেছিলেন যে তাঁর জাহাজের নবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি, আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনারকথাও বর্ণনা করেছেন। (সূত্রঃ১১ইঅক্টোবর, ১৪৯২ এ লিখিত কলম্বাসের নোটবুক) এই অঞ্ছলে গঠিত বিভিন্ন দুর্ঘটনা বা নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমান এবং জাহাজের মধ্যে উল্লেখ করার মতো একটি হলো ফ্লাইট নাইনটিন ( ইউ এস নেভী-র পাঁচটি ‘টি বি এম অ্যাভেন্জার’ বিমানের একটি দল, যা প্রশিক্ষণ মিশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়)।। ১৯৬২ সালের এপ্রিল মাসে ফ্লাইট নাইনটিন নিয়ে আমেরিকান লিজান (American Legion) ম্যগাজিনে লিখা হয়। বলা হয়ে থাকে এই ফ্লাইটের দলপতি কে নাকি বলতে শোনা গিয়েছে- We don't know where we are, the water is green, no white। এর অর্থ হল "আমরা কোথায় আছি জানি না, সবুজ বর্ণের জল, কোথাও সাদা কিছু নেই"! 
এতেই প্রথম ফ্লাইট নাইনটিনকে কোন অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার সাথে যুক্ত করা হয়।ত্রিভুজাকার এই অঞ্চলটির মোট আয়তন ১৪৪ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ৪৪ লাখ বর্গ মাইল। এটি ২৫-৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫৫-৫৮ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। তবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অন্যান্য জিনিসের মতো এর বিন্দু নির্ধারণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বেশিরভাগ হারিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলো ঘটেছে দক্ষিন সীমানায় বাহামা দীপপুঞ্জ ঘিরে এবং ফ্লোরিডা উপকূলের আশেপাশে।বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অভ্যন্তরে আছে শ তিনেক কোরাল দ্বীপ। এর বেশিরভাগই জনবসতিহীন।আর এর মাঝে একটি দ্বীপই হচ্ছে বারমুডা।বারমুডা দ্বীপটি আবিষ্কৃত হয় ১৫৬৫ সালে। এক দুঃসাহসিক নাবিক জুয়ান ডি বারমুডেজ এই দ্বীপটি আবিস্কার করেন। তার নামানুসারেই পরে দ্বীপটির নামকরন করা হয়।এই অঞ্চলের রহস্যময়তারএকটি দিক হলো, কোনো জাহাজ একবার এই এলাকায় প্রবেশ করার কিছু সময়ের মধ্যে তা বেতার তরঙ্গ পাঠাতে অক্ষম হয়ে পড়ে। এর ফলে জাহাজটি উপকূলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে না।মার্কিন নেভির সুত্র অনুযায়ী, গত ২০০ বছরে এই এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এবং ২০ টি বিমান চিরতরে অদৃশ্য হয়ে গেছে।১৯৬৮ সালের মে মাসে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ডুবোজাহাজের ঘটনাটি সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন তোলে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের আরো সব বিতর্কের মধ্যে একটি হলো, ফ্লাইং সসারের আগমন। অনেকে মনে করেন, এই এলাকাটি উন্নত গ্রহের প্রানিদের পৃথিবীতে অবতারণের স্থান। এ ধারনার কারন হলো, এই এলাকায় চলাচলকারী কিছু নাবিক নাকি আকাশে উড়ন্ত সসারের আনাগোনা দেখতে পান। তবে, এটি নিছক কল্পনা হিসেবে ধরা হয়। কারন, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
July 21, 2017

সূর্য ঝড়

সূর্য ঝড়

১৯ থেকে ২২ জানুয়ারী সূর্যে বেশ কিছু বড় মাত্রা সোলার ফ্লেয়ার উৎক্ষিপ্ত হয়। এটাকে সাধারনত বলা হয় করোনাল ম্যাস ইজাক্টশন বা সিএমএই।  এবারের বিস্ফোরনটা ছিল পৃথিবীমূখী।ফল সরুপ সূর্যের আলোর সাথে ধেয়ে আসে প্রবলভাবে সক্রিয় প্রোটনের ঝড়। 

এধরনের ঝড় সবসময়ই হয় তবে এবারেরটা ছিল অনেক বড় মাত্রার। অক্টোবর ২০০৩ এর পর এটাই সবচেয়ে বড় সৌর ঝড়।
এধরনর ঝড় থেকে যে রেডিয়েশন হয় তা সাধারনত পৃথিবীর চৌম্বকীয় বলয় এবং আবহাওয়া মন্ডল ভেদ করে সমতলে আসে না। 
তবে কৃত্রিম উপগ্রহ এবং আন্তর্যাতিক মাহকাশ কেন্দ্রে নভোচারীদের জন্য এটা ছিল একটা বড় হুমকি।
গত কাল রাতে ঝড় পৃথিবীর সীমা অতিক্রম করে চলে গেছে, জিপিএস স্যটেলাইট গুলোতে কিছুটা ব্যঘাত ঘটলেও বড় ধরনের কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।
বাড়তি পাওয়া হিসেবে মেরুর কাছাকাছি এলাকাগুলোত অভুত পূর্ব আরোরার প্রদর্শনী দেখা গেছে।

Thursday, 1 June 2017

June 01, 2017

৫ টি উপায় থেকে নকল ফেসবুক প্রোফাইল ধরা সম্ভব !! ছবিতে ক্লিক করে জেনে নিন


পড়া শুরু করুন এখান থেকে !! 👇👇

কিভাবে ধরবেন তার উপায়গুলি নিচে সংক্ষেপে লেখা ।।
ট্রিক ১. কেবল ১টি মাত্র প্রোফাইল পিকচার থাকলে প্রায়শই বোঝা যায় ওই প্রোফাইল টি ফেক !!
ট্রিক ২. হেজি প্রোফাইল পিকচার থাকলে বুঝবেন ওই প্রোফাইল পিকচার ফেসবুক অ্যাপ থেকেই শেভ করে সেটিকে নতুন প্রোফাইল এ অ্যাড করা হয়েছে ।
ট্রিক ৩. সিঙ্গেল নাম অথবা ফেসবুক এর প্রায় কিছু common নাম থেকেও বোঝা সম্ভব হয় ।
ট্রিক ৪. ফ্রেন্ড লিস্ট চেক করে যদি দেখেন অনেক অজানা ফ্রেন্ড এবং আপনার চেনা কোনো ফ্রেন্ড কে mutual পাচ্ছেন না, তবে বুঝবেন ওই প্রোফাইল টি ফেক ।
ট্রিক ৫. যদি আপনি সেই ব্যক্তির সাথে chat করেন ও খুব তাড়াতাড়ি রিপ্লাই পান (বিশেষ করে কোনো মেয়ের সাথে chat) তাহলে বুঝবেন ওই প্রোফাইল ফেক । এছাড়াও যদি তাড়াতাড়ি ভালোবাসার কোনো লেখা বা ইঙ্গিত পেতে থাকেন (যেমন i love you) তাহলে বুঝবেন ওই প্রোফাইল আপনার কোনো ফ্রেন্ড চালাচ্ছে এবং আপনাকে বোকা বানাচ্ছে কিংবা ইয়ারকি মস্করা করছে ।

Monday, 22 May 2017

May 22, 2017

গ্লোমি সানডে || এক আত্মঘাতী গান । ছবিতে ক্লিক করে পড়ুন ..


#সংগৃহীত
গ্লোমি সানডে, হাঙ্গেরিয়ান পিয়ানোবাদক ও কম্পোজার রেজো সেরেসের কম্পোজ করা একটি গান যা ১৯৩৩ সালে ভিজি-অ্য ভীলাগ্নাক (ইন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড)[১] শিরোণামে প্রকাশিত হয়েছিল। গানটির কথা লিখেছিলেনলাজলো জাভোর ও তার ভার্সনে গানের শিরোণাম ছিল জুমোরো ভাসার্নাপ যারহঙ্গেরিয়ান উচ্চারন:ˈsomoruː ˈvɒʃaːrnɒp (স্যাড সানডে)। পল কামার ১৯৩৫ সালেহাঙ্গেরিয়ান ভাষায় প্রথম গানটি রেকর্ড করেন।
হাল ক্যাম্প ১৯৩৬ সালে প্রথম গ্লোমি সানডেশিরোণামে গানটি ইংরেজিতে রেকর্ড করেন ও গানের কথা লেখেন স্যাম এম. লিওইজ[২]একই বছরে পাউল রবিসন নতুন করে রেকর্ড করেন ও এর কথা লেখেন ডেসমর্ন্ড কার্টারবিলি হলিডে১৯৪১ সালে গানটির আরো একটি ভার্সন বের করলে এটি ইংরেজি ভাষাভাষী জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠে। লিওউজের কথাগুলো আত্মহত্যা সমর্থন করে এবং রেকর্ড লেভেলে এই গানটিকে “হাঙ্গেরিয়ান আত্মহত্যার গান” বলে উল্লেখ করা হয়।[৩][৪] বিদেশী কিংবদন্তিতে দাবী করা হয়, এই গান শুনে একশত এর বেশি মানুষআত্মহত্যা করেছে।[৫][৬][৭]
পটভূমি
১৯৩২ সালে প্যারিসে বসবাসরত অবস্থায় সেরেস প্রথম গানটি কম্পোজ করেছিলেন।[৮]তিনি তখন গান লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য চেষ্ঠা করছেন। মৌলিক গানটি গাওয়া হয়েছিল মূলত মেলোডি হিসেবে পিয়ানোর মাধ্যমে।[৯] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে অর্থনৈতিক মন্দার সময় গানটি লেখা হয়েছিল। ভিজি-অ্য ভীলাগ্নাক গানটির কথায় মানুষের প্রতি মানুষের অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও যারা অন্যায় কাজে লিপ্ত তাদের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে।[১০] এরকমও বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত গানটির নির্দিষ্ট কোন কথা ছিলনা এবং ১৯৪৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত এর কোন কপিরাইট সত্ব ছিলনা।[১১]গানটির হতাশাব্যাঞ্জক কথার জন্য প্রথমে সেরেস গানটির জন্য প্রকাশক খুঁজতে সমস্যায় পড়েন। সম্ভাব্য একজন প্রকাশক বলেন,
এরকম নয় যে গানটিই দুঃখের কিন্তু গানটির কথায় এমন কিছু আছে যা হতাশাব্যাঞ্জক। আমি মনে করিনা গানটি শোনার পর কারো ভালো কিছু মনে হবে।[১২]
১৯৩৩ সালের শেষের দিকে গানটি শীট মিউজিকে (কাগজে রিখিত বা প্রিন্ট ভার্সন) প্রকাশিত হয়[১৩] এবং এর কথা লেখেন কবি লাজলো জাভোর যিনি সম্প্রতি তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ ঘটান।[৮] বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুসারে জাভোর মৌলিক গানটি পুনরায় লেখেন, যদিও অনেকে তাকে এই গানের কথার মূল লেখক বলে থাকেন।[১৪] তার কথাতে তিনি কোন রাজনৈতিক আবেগপ্রবন ভাষা ব্যবহার করেননি বরং তিনি ভালবাসার মানুষের মৃত্যু ও মৃত্যুর পরবর্তী জীবণে তার সাথে মিলিত হওয়ার উপরে আলোকপাত করেছেন।[১২][১৫][১৬] গানের এই ভার্সনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং এটি পরবর্তীতে হারানো প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠে।[১৭]
প্রথম অনুবাদ ও রেকর্ডিং
বিলি হলিডে যিনি ১৯৪১ সালে গানটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সনটি প্রকাশ করেন।
জাভোরের কথা ব্যবহার করে প্রথম হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় গানটি রেকর্ড করেন পাল কামার ১৯৩৫সালে। হাঙ্গেরিতে তার ভার্সনটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে সেই সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে আত্মহত্যার হার বেরে যায়। জাভোরের সাবেক স্ত্রীও আত্মহত্যা করেন তাছাড়া কিছু লোক ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে তখন তাদের হাতে গানটির একটি শীট মিউজিক ভার্সন ধরা ছিল।[১৮] কিছু সূত্রের তথ্য অনুযায়ী হাঙ্গেরিয়ান কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত গানটি জনসম্মুক্ষে প্রচার বন্ধ কারার নিষেদ্ধাগ্ঘা জাড়ি করে।[৮]
সংবাদমাধ্যমে হাঙ্গেরিয়ান আত্মহত্যার গানটি প্রচার পাওয়ার পরপরই বিভিন্ন ভাষায় এটি অনুবাদ করে রেকর্ড করা হয়। ১৯৩৫ সালে পয়টর লেসচেনকো রাশিয়ান ভাষায়"Мрачное воскресенье" (গ্লোমি সানডে) শিরোনামে প্রকাশ করে। ১৯৩৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দামিয়া “সমব্রে দিমানসি” শিরোনামে ফ্রান্সে গানটি রেকর্ড করেন।জাপানি ভাষায় "暗い日曜日" (কুরাই নিচিওবি) শিরোনামে ১৯৩৬ সালে নরিকো আওয়ায়া গানটি প্রথম রেকর্ড করেন। জাপানি ও ফ্রান্স দুই ভার্সনই ইংরেজিতে “ডার্ক সানডে” নামে অনুবাদ করা হয়।
ইংরেজি ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন কথায় কয়েকটি ভার্সন বের হয়। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সনের কথা লেখেন স্যাম এম. লুয়াইজ। এটি প্রথম ১৯৩৬ সালে ব্যান্ডলিডার হাল ক্যাম্প, ভোকাল বব এলেন রেকর্ড করেন। লুয়াইজের ভার্সনের প্রথম লাইনটি ছিল, “সানডে ইজ গ্লোমি, মাই আওয়ারস আর স্লামবারলেস…” এবং প্রথম দিকের ভার্সনগুলোতে যে লাইন ছিল তা অনেকটা আত্মহত্যাকে অনুপ্রানিত করে বলে মনে করা হয়। লাইনটি হল, “গ্লোমি ইজ সানডে, উইদ স্যাডো আই স্পেন্ড ইট অ্যল/ মাই হার্ট এন্ড আই হ্যাভ ডিসাইডেড টু ইন্ড ইট অ্যল।” আরেকটি জনপ্রিয় ভার্সন ছিল আর্তি স্যাউ লিখিত ও পাউলিন ব্রেনসের গাওয়া।[১৯][২০]
ইংল্যান্ডের ডেসমন্ড কার্টার গানটির ভিন্ন একটি ভার্সনের কথা লেখেন যেকানে তিনি পুনরায় সেরেসের টোন ব্যবহার করেন। গানটি ১৯৩৬সালে পাউল রবিসন দ্বারা রেকর্ড করা হয়েছিল।[২১] কার্টারের গানের কথা শুরু হয়েছিল, “সেডলি ওয়ান সানডে আই ওয়েটেড এন্ড ওয়েটেড…” লাইনটি দ্বারা।[২২]
বিদেশী কিংবদন্তী
গানটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে এটি সম্পর্কে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত যা মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এ গানটি শুনার পর অনেক লোক আত্মহত্যা করেছে।[২৩] অনেক রেডিও নেটওয়ার্ক গানটি প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল যদিও এ দাবিগুলো প্রমানিত নয়।[২৪]সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্র ও হাঙ্গেরিতে কমপক্ষে ১৯ জন লোক আত্মহত্যা করে।[৭][৮][২৫] এছাড়াও দাবি করা হয় সাড়া পৃথিবীতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ গানটি শুনার পর আত্মহত্যা করেছেন[৪][২৬] যদিও দাবিগুলো প্রমান করা কঠিন ছিল। হাঙ্গেরিতে অনান্য দেশের তুলনায় আত্মহত্যার হার এমনিতেই বেশি কিন্তু কিংবদন্তিতে দাবী করা হয় গানটি প্রকাশের পর মানুষ আরো বেশি আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পরে। কোন গবেষণাতেই অবশ্য স্পষ্ট করে গান ও আত্মহত্যা সম্পর্কে বলা নেই।[২৪]
গানটি প্রকাশের পর সেরেসের সাবেক স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে গানটি প্রকাশের প্রায় ৩৫ বছর পর রেজো সেরেসও বুদাপেস্টে একটি ভবনের জানালা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্ঠা করেন কিন্তু তিনি বেচেঁ যান। পরবর্তীতে একটি হাসপাতালে তিনি গলায় তার পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।[২৭]গ্লোমি সানডে গানটি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।[৬]বিবিসি বিলি হলিডের ভার্সনটি প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল[৭] কিন্তু ২০০২ সালে বিবিসি নিষেধাঙ্ঞা তুলে নেয়।[২৪] আরো কয়েকটি রেডিও নেটওয়ার্কের গানটি প্রচার বন্ধ করার তথ্য পাওয়া যায়।
পরে রেকর্ডিং এবং উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স
  • ১৯৪১ – বিলি হলিডে
  • ১৯৫৮ – মেল টর্মি
  • ১৯৫৯ – এলা পেলিনেন (in Finnish as "Surullinen sunnuntai")
  • ১৯৬১ – সারা ভূগান
  • ১৯৬১ – লোরেজ আলেক্সজান্দ্রিয়া
  • ১৯৬২ – কেটি লেস্টার
  • ১৯৬২ – লউ রাউলস
  • ১৯৬৭ – কার্মেন মেক্রি
  • ১৯৬৮ – জেনেসিস (the Los Angeles psychedelic rock band, not the UK progressive rock band)
  • ১৯৬৯ – রয় চার্লিস
  • ১৯৬৯ – বিগ ম্যাবেলি (on Saga of the Good Life & Hard Times)
  • ১৯৭২ – ভিক্টর ক্লিম্যানকো (in Russian as "Ona pred ikonoi")
  • ১৯৭৫ – জিমি উইটারস্পোন (onSpoonful)
  • ১৯৭৭ – ইটা জোনস (on My Mother's Eyes)
  • ১৯৮০ – লেদিয়া লান্স (on Queen of Siam album)
  • ১৯৮১ – এলভিস কসেলো (Trust) (Sam M. Lewis, Rezső Seress)
  • ১৯৮২ – অ্যাসোসিয়েটস (ব্যান্ড) (Sulk) (Sam M. Lewis, Rezső Seress)
  • ১৯৮৩ – মার্ক এলমন্ড (Torment and Toreros) (Sam M. Lewis, Rezső Seress)
  • ১৯৮৪ – পিটার উল্ফ (Lights Out) (Sam M. Lewis, Rezső Seress)
  • ১৯৮৬ – ক্রিস্টিন ডেথ (Atrocities) (Sam M. Lewis, Rezső Seress)
  • ১৯৮৭ – ডেড মিল্কম্যান (as a bridge in their song "Blood Orgy of the Atomic Fern")
  • ১৯৮৭ – সার্গেই গেইনসবার্গ (French version)
  • ১৯৮৭ – অ্যাবে লিংকন
  • ১৯৯১ – ভ্লাদু ক্রেসলিন (Bela nedelja (Namesto koga roža cveti album)) (Vlado Kreslin lyrics)
  • ১৯৯১ – ডিয়ামান্ডা গ্লাস (The Singer) (Desmond Carter lyrics)
  • ১৯৯২ – সিনিয়াদ ও’কনার
  • ১৯৯৪ – অ্যান্টন লেভি (Released it in his 10" "Strange Music")
  • ১৯৯৬ – সারা ম্যাকক্লেহান(using Sam M. Lewis lyrics; from theRarities, B-Sides, and Other Stuffalbum)
  • ১৯৯৮ – ডেনি মিচেল (ক্লিয়ার অ্যালবামে)
  • ১৯৯৯ – দ্য স্মিথারিন্স (গড সেভ দ্য স্মিথারিন্স অ্যালবামে)
  • ২০০০ – ক্রুনোস কার্টেট (instrumental for string quartet)
  • ২০০০ – সারা ব্রাইটম্যান (using Sam M. Lewis lyrics; on La Luna)
  • ২০০১ – হিদার নোভা (সাউথ অ্যালবামে)
  • ২০০৫ – ভেনেটিয়ান স্নারিস (under Hungarian title "Öngyilkos vasárnap", literally meaning "Suicidal Sunday", incorporating a sample of Billie Holiday's 1941 rendition)
  • ২০০৯ – এমিলি আটাম্ন (বিল হলিডের কথার প্রথম দুই লাইন)
  • ২০১০ – পালবিয়ারার (ডেমো)
  • ২০১১ – মারিসা নাদলার ও রায়ান লি ক্রসবি
  • ২০১২ – সারাসভাটি (মিরর অ্যালবামে)
  • ২০১২ – উজালা (উজালা অ্যালবামে)
  • ২০১৩ – ডেক্স রিগস (লাইভ উপস্থাপনা[২৮])
তথ্যসূত্র
  1.  Sheet music gloomy-sunday.jpg (442×694)
  2.  "Gloomy Sunday" - Sam Lewis lyrics, Accessed 11 June 2013
  3.  "Gloomy Sunday: did the "Hungarian suicide song" really create a suicide epidemic?"। সংগৃহীত ২০১৩-০৬-১১।
  4.  "Gloomy Sunday - Music to Die for?"। BBC। Apr ৭, ২০০৯। সংগৃহীত ২০১৩-০৬-১১।
  5. ↑   "Gloomy Sunday"। সংগৃহীত ২০১৩-০৬-১১।
  6.  Rezső Seress' Gloomy Sunday - Board, Accessed 11 June 2013
  7.  "Gloomy Sunday": list of recordings. Accessed 11 June 2013
  8.  SecondhandSongs: "Gloomy Sunday". Accessed 11 June 2013
  9.  [১]. Accessed 11 June 2013
  10.  "Gloomy Sunday"। সংগৃহীত ২০১৩-০৬-১১।
  11.  Microfilm scan of article over Seress's suicide. New York Times, January 14, 1968, page 84 in Obituaries.

Saturday, 20 May 2017

May 20, 2017

প্রাচীন মিশরে যেভাবে মেয়েদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হতো! ছবিতে ক্লিক করে পড়ুন সেই রহস্য


সে সময় আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ছিল না। ছিল না আধুনিক চিকিত্সাবিদ্যা। কিন্তু প্রাচীন মিশরীয়রা এক অদ্ভূত কায়দায় বুঝত কোনও নারী অন্তঃসত্ত্বা কিনা। এমনকী‚ তারা জানতে পারত গর্ভস্থ ভ্রূণের লিঙ্গও! সেই পন্থার কথা লেখা আছে এক প্যাপিরাসে। খননকার্যে উদ্ধার হয়েছে সেই প্যাপিরাস।
যদি কোনও নারীর মনে হত‚ বা অন্য কারও সন্দেহ হত‚ সেই নারী গর্ভবতী‚ প্রাচীন মিশরে তাকে বলা হত দুটি পাত্রে মূত্রত্যাগ করতে। একটিতে ভরা থাকত বার্লির দানা।
অন্যটিতে গমের দানা। নির্দিষ্ট দিন অন্তর মূত্রত্যাগ করতে হত।
এরপর নজর রাখা হত পাত্র দুটির দিকে। যদি একটি পাত্রের বীজ থেকেও অঙ্কুরোদ্গম হয়‚ তাহলে ওই নারী অতি অবশ্যই অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু সেই শিশু ছেলে হবে‚ না মেয়ে? যদি বার্লির বীজ থেকে চারা বের হত‚ তাহলে মনে করা হত আসছে কন্যাসন্তান। আর যদি গমের দানা অঙ্কুরিত হত‚ তাহলে ধরেই নেওয়া হত‚ পুত্রসন্তান জন্মাবে।
আশ্চর্যজনক ভাবে‚ এই পরীক্ষা নাকি ৫০% থেকে ৭০% ক্ষেত্রে মিলে যেত। অর্থাৎ বোঝা যেত ওই নারী গর্ভবতী কিনা। এবং বেশিরভাগ সময়েই চারা বের হলে একটি পাত্র থেকেই বের হত।
মিশরীয় সভ্যতার আরও অনেক রহস্যের মতো এটির ব্যাখ্যাও অধরা থেকে গেছে আধুনিক বিশ্বের কাছে। তবে কোন কোন গবেষকদের ধারনা‚ গর্ভবতী নারীদের দেহে ইস্ট্রোজেনের আধিক্যর জন্য অঙ্কুরোদ্গম হত।
কিন্তু কেন বর্লি-চারা হলেই মেয়ে‚ আর গম-চারা হলেই ছেলে‚ এর কোন গ্রহণযোগ্য ব্যাখা না পাওয়ায় বিজ্ঞানীরা গ্রহণ করেননি।
সোর্স: https://history.nih.gov/exhibits/thinblueline/timeline.html
বি:দ্র: এই লেখার সাপেক্ষে কোনো চিত্র গুগোল অথবা অন্যান্য কোনো ফোরাম থেকে পাওয়া গেলো না । ধন্যবাদ ।।